মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা ড. মকবুল খান, তদন্তে ইউজিসি ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও পিকাপ গাড়ি সহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৪ জন ডাকাত গ্রেফতার। কেরাণীগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে — গয়েশ্বর কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিজয় র‌্যালী। গণঅভ্যুত্থান দিবস ও সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুরে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের বিজয় র‍্যালি। সীমাহীন যাত্রী ভোগান্তি চরমে কদমতলী এলাকায় ডিসি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জে তরুণরা। চাঁদপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনে ফুটে উঠল রক্তাক্ত জুলাই ‘২৪-এর রঙে’ শিক্ষার্থীদের তুলিতে স্বাধীনতার বীরগাঁথা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার।

বজ্র কণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ দিনেই বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ঐতিহাসিক ভাষণ’ ঘোষণা দেওয়ায় এ বছর দিবসটি বিশেষ গুরুত্বসহ পালন করছে বাংলাদেশ।

শুদ্ধতায় ভরা যার প্রাণ, কণ্ঠেও ঝরে তার শুদ্ধতার মান। রাজনীতির কবি তিনি। সেদিন রাজনীতির কবিতাই শুনিয়েছিলেন এ বাংলাকে। অমন তেজদীপ্ত কণ্ঠে ধরণীর বুকে আর কোনো কবি কখন’ই কবিতা পাঠ করেনি। আর অমন তেজদীপ্ত কণ্ঠে কবিতা শুনে শ্রোতারাও হয়েছিলেন মুগ্ধমনা।

৭ মার্চ, ১৯৭১ সাল। একটি মাত্র ভাষণ। আর তাতেই হাজার বছরের আবেগ। যে ভাষণে আবেগের গাঁথুনিতে শক্তি সঞ্চয় করে বীর বাঙালি অস্ত্র ধরেছিল হাজারও বঞ্চনার বিরুদ্ধে। এদিনই মুক্তির ঝাণ্ডা উড়িয়ে বাঙালি তার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মরণপণ শপথ নেয়।

সেদিনের মাহেন্দ্রক্ষণে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

তার এই ঐতিহাসিক ভাষণের পর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আর কোনো প্রয়োজন মনে করেনি মুক্তিকামী মানুষেরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা। এ স্বীকৃতি যেন বাংলা, বাঙালি বাংলাদেশ, সর্বপরি মানুষের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন পুনঃব্যক্ত করা।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটায়। স্বাধীনতার যে ডাক তিনি দিয়েছিলেন, তা যেন বিদ্যুৎ গতিতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

সেদিন বেলা তিনটা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হন। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ময়দান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্লোগান ছিল পুরো ময়দানজুড়ে ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। উপস্থিত জনতাকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধেও প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’

১৯ মিনিটের সেই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে দারুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। আজও তা অনুপ্রেরণার উৎস। সে ভাষণে আজও কেঁপে কেঁপে ওঠে ধরণী। আজও গোটা বিশ্ব শুনবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের তেজদীপ্ত সেই স্বাধীনতার ভাষণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host